ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার ১৯ কিলার টিপস! (দ্বিতীয় পর্ব)


হতে পারে ফ্রিল্যন্সিং খুব কঠিন, সত্যিই খুব কঠিন কাজ। হয়তো নিরুৎসাহিতও হয়ে যেতে পারেন, মনে হতে পারে এ পথ আপনার জন্যে নয় কিংবা ছেড়ে দেবার জন্যে মনটা আকুপাকু করছে।

মনে রাখবেন, এই পথে মোকাবেলা করার মত অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, সমাধান করার মত অনেক সমস্যা আছে। তবে কথা হল আপনি সেটাকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন নাকি সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন, অনেকখানি সেটার উপরেই নির্ভর করছে আপনি সেটাকে কিভাবে সমাধান করবেন ।

পোষ্টটি লিখার উদ্দ্যেশ্য হল, এটি আপনাকে সঠিক পথে টিকে থাকতে সাহায্য করবে। বলতে পারেন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের জন্যে এই পোষ্টটি একটি রিমাইন্ডার, আর নতুনদের জন্যে চেকলিষ্ট।

টিপসগুলোঃ
১.ব্যায়াম করুনঃ ব্যায়াম করলে নিজেকে অনেক বেশী এনার্জেটিক মনে হবে, মনযোগ বাড়বে, আর অনেক সুক্ষ কাজও অনেক দক্ষতার সাথে করতে পারবেন।

২. মাঝে মাঝে বিরতি নিনঃ কথাটা হয়তো কান্ডজ্ঞানহীনের মত মনে হতে পারে কিন্তু মনে রাখবেন দীর্ঘ সময় ধরে একনাগাড়ে কাজ করা আপনার প্রোডাক্টিভিটিকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। তাই মাঝে মাঝে বিরতি নিন, কাজের মাঝে আনন্দ খুজে পাবেন।

৩. প্রত্যাশা পূরণ করুনঃ ক্লায়েন্টকে নিরাশ করবেন না, নির্ধারিত সময়ে কাজ জমা দিন এবং যা দিচ্ছেন তা যেন ক্লায়েন্টের শর্ত পূরণ করে সেটার প্রতি সর্বোচ্চ খেয়াল রাখবেন।

৪. ইনভয়েস পাঠানঃ কাজ জমা দিয়েছেন, ক্লায়েন্টকে ইনভয়েস পাঠিয়ে দিন। অপেক্ষা করলে সেটার কথা আপনি কিংবা ক্লায়েন্ট যে কেউই ভুলে যেতে পারেন।

৫. ধন্যবাদ বলতে শিখুনঃ থ্যাঙ্কস বলতে পারেন এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যায়, কারো কাছে লক্ষণীয় হয়ে উঠার খুব সহজ একটি উপায় হল আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ বলতে পারা। তাই ক্লায়েন্টকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করবেন না।

৬. ফলোআপ করাঃ অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের ফলোআপ করতে ভয় পান। কিন্তু মনে রাখবেন, ফলোআপ করা ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট।

৭. লক্ষ্য নির্ধারণ করুনঃ আপনার কাজ কতদূর এগুচ্ছে কিংবা ঠিক পথে এগুচ্ছে কিনা, লক্ষ্য নির্ধারণ ব্যতীত সেটা কখনোই পরিমাপ করতে পারবেন না। তাই যৌক্তিক লক্ষ্য নির্ধারন করুন যেটা আপনি পূরণ করতে পারবেন।

৮. প্ল্যান সেট করুনঃ লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেছেন? বেশ ভাল, এবার সে লক্ষ্য অনুযায়ী প্ল্যান সেট করুন। প্রয়োজনে করণীয় কাজগুলোকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন। সময় পেলেই সেটাতে চোখ বুলিয়ে নিন।

৯. সহযোগীর সাহায্য নিনঃ আপনি ফ্রিল্যান্স করেন তার মানে এই না যে সব কাজ আপনাকে একাই করতে হবে। বিশেষ কোন কাজের জন্যে অন্যের সাহায্য নিন।

১০. শেখার জন্য সময় রাখুনঃ কথায় আছে, জানার কোন শেষ নেই, শেখার কোন বয়স নেই। আপনার স্কিল আর নলেজ আপটুডেট রাখুন। নিয়মিত নতুন কিছু শেখা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অপশনাল নয়।

১১. ভাল কিছুর জন্যে ইনভেষ্ট করুনঃ টাকা খরচ করার একটি উপযুক্ত খাত হল নিজের জন্য একটা হাই কোয়ালিটি পিসি কেনা, সফটওয়্যার দরকার হলে সেটা কেনা(যদিও বাংলাদেশের জন্যে এটা বলার প্রয়োজন মনে করছিনা) এবং হাই স্পিড ইন্টারনেটের পেছনে খরচ করা। এগুলো অযথা সময় নষ্ট হওয়া থেকে বাচাবে এবং অযথা ইফোর্টকে অনেকখানি কমিয়ে দেবে।

১২. সঠিক সফটওয়্যারের ব্যবহারঃ যদিও বেশীরভাগ কাজই ফ্রিওয়্যার টুল দিয়েই হয়ে যায়, কিন্তু কিছু কিছু কাজ করতে আপনাকে হয়তো কিছু সফটওয়্যার বা টুল কিনতে হতে পারে। সে সময় দেখে শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন যাতে কাজটি সঠিকভাবে শেষ করতে পারেন।

১৩. সাপোর্ট গ্রুপ তৈরী করুনঃ সাধারণত ফ্রিল্যান্সাররা একাই কাজ করেন, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহায্যের দরকার পড়ে। সুতরাং বন্ধুত্ব করা কিংবা বজায় রাখা সেটা সম্পূর্নই আপনার উপর নির্ভর করছে।

১৪. ক্লায়েন্টের টেষ্টিমোনিয়াল কালেক্ট করুনঃ পুরোনো কিংবা নতুন ক্লায়েন্টদের সমর্থন কিংবা টেষ্টিমোনিয়াল আপনার মার্কেটিংকে আরো ষ্ট্রং করে তুলবে। তাই, আপনার সম্পর্কে ক্লায়েন্টের পজিটিভ মন্তব্যগুলোকে আপনার পোর্টফোলিওতে তুলে ধরতে পারেন।

১৫. নিজের প্রোডাক্ট তৈরী করুনঃ বাড়তি আয়ের জন্যে নিজের কিছু প্রোডাক্ট তৈরি করতে পারেন। যেমন টেম্পলেট, ট্রেইনিং মডিউল, ওয়ার্ডপ্রেস থিম, ইবুক এগুলো তৈরী করে বিক্রিও করতে পারেন।

১৬. ইতিবাচক হোনঃ মনে রাখবেন, একজন ফ্রিল্যান্সারের ভাল মনোভাব তার জন্যে অনেক বড় একটা অ্যাসেট।

১৭. নিজের উপর বিশ্বাস রাখুনঃ আপনি যদি বিশ্বাস করেন করণীয় কাজটির জন্যে সঠিক ব্যাক্তিটি আপনি নন, ক্লায়েন্ট আপনাকে সেটার জন্যে যোগ্য ভাববে সেটা কিভাবে আশা করেন?

১৮. নতুন কিছু করুনঃ এক্সপেরিমেন্ট করতে ভয় পাবেন না।

১৯. অনলাইনে নিজের মতামত বিশ্লেষণ করুনঃ আপনি অনলাইনে যা বলেন কিংবা আপনার সম্পর্কে যা বলা হয় সেটা কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ, সঠিকভাবে মেইনটেইন করে চলুন।

বোনাস টিপসঃ ভবিষ্যতের জন্যে প্রস্তুত হোন, দুর্দিনের জন্য সঞ্চয় করুন।

এখন আপনার পালা, লিষ্টে আপনার কোন টিপস এড করতে চান? কমেন্টে বিনা দ্বিধায় বলতে পারেন।

লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিন।
সবার জন্য শুভ কামনা রইলো। হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং বসেস