হ্যাকিংয়ের ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়ঃ


আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব বহুল পরিচিত এবং বহুল ব্যাবহৃত একটি হ্যাকিং পদ্ধতির সাথে। আপনার সবারই এ বিষয়ে কিছু ধারনা আছে। পদ্ধতি টি হলো “ফিশিং” অনেকে আবার একে অনেক নামে ডেকে থাকেন।

এই পদ্ধতিটি বিশ্বের নামি দামী হ্যাকাররাও ব্যাবহার করে থাকে। এই ফাঁদে পা দেওয়া অনেক সহজ। আপনার অজান্তেই হ্যাক হয়ে যাবে আপনার একাউন্ট।

এই পদ্ধতিতে মূলত মূল সাইটের মতো করেই হুবহু আরেকটা নকল সাইট তৈরি করা হয়। এই নকল সাইটে লগিন করলেই আপনার পাসওয়ার্ড চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে। আপনারা অনেকেই হয়তো পা দিয়েছেন এই ফাঁদে।

►► পিশিং সাইট যেভাবে তৈরি করা হয়:

এ ধরনের সাইট তৈরি করতে হ্যাকাররা প্রথমে মুল সাইটের মতো করে আরেকটা সাইট তৈরি করে। নকল সাইট বানাতে তারা ঐ সাইটের লগিন পেজ মানে হোম পেজের HTML কোড বের করে। কোন পেজের HTML কোড বের করার বিভিন্ন সফটওয়্যার ও অনলাইন টুল আছে। তারপর তারা ঐ পেজের লগিন এরিয়াকে মেইল সেন্ডারে রুপান্তরিত করে (যেটাকে আমরা নিজেদের সাইটে email to admin হিসেবে ব্যাবহার করে থাকি)। তারা ইউজার নেম এরিয়াকে মেইলের সাবজেক্ট ও পাসওয়ার্ড এরিয়াকে মেইলের মুল অংশ এবং লগিন বাটন কে সেন্ড বাটন হিসেবে সেট করে। এখন সাইট টিতে লগিন করলেই আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড চলে যাবে হ্যাকারদের ইমেইলে।

►► যেভাবে পিশিংয়ের ফাঁদে ফেলা হয়:

ধরুন আপনার যে ইমেইল ঠিকানা দিয়ে ফেসবুক বা অন্য কোন সাইটে রেজিষ্টেশন করা আছে। ঐ মেইলে আপনি ফেসবুক আপডেট পান। হ্যাকাররা ঠিক একই ধরনের মেইল লিখে আপনার মেইল ঠিকানায় পাঠাবে নকল সাইটের ইউ আর এল দিয়ে। তখন আপনি ওখানে ঢুকে লগিন করলেই আপনার নাম ও পাসওয়ার্ড পাচার হয়ে যাবে।
ফিশিং থেকে বাঁচবেন যেভাবে:

1. অপনি নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি মূল সাইটে লগিন করছেন। এজন্য সাইটের URL চেক করে নিন।
2. আপনার পাসওয়ার্ড ও নাম সেভ করা থাকলে। আপনার ব্রাউজার একমাত্র আসল সাইটেই তা প্রদর্শন করবে।